ইউনুস আহমেদ
ইউনুস আহমেদ। জন্ম ৩১ মার্চ, ঢাকা। বাবাÑ আফতাব উদ্দিন আহমেদ। মাÑ ফাতেমা খাতুন।
ভূগোল বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স। বর্তমানে তেঁতুলঝোড়া কলেজের প্রিন্সিপাল। কিশোর বয়সে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। শিশু-কিশোর উপযোগী সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার নিয়মিত পদচারণা। তবে সায়েন্স ফিকশন ও মুক্তিযুদ্ধ তার লেখালেখির প্রিয় বিষয়। সম্পাদনা করেন শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন ‘ত্রৈমাসিক অরুণবর্ণ’। তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক
লেখালেখি, ভ্রমণ করা ও ছবি তোলা তার প্রিয় শখ। স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা, দুই সন্তান রাদিফা ও রিয়াসাকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ, যা তাকে লেখার অনুপ্রেরণা জোগায়।
সাহিত্যকর্মসমূহ
এলিয়েনের সাইকেল (২০১৪), ক্লাস ক্যাপ্টেন ও চার গোয়েন্দা (২০১৫), লাল পাহাড়ে আতঙ্ক (২০১৬) ভিনগ্রহের বাসিন্দা (২০১৭), দুষ্টুদের চড়ুইভাতি (২০১৭), পিচ্চি এলিয়েনের কাণ্ড (২০১৮), লাস্ট বেঞ্চের ফার্স্টবয় (২০১৮) মঙ্গলগ্রহের টিয়ানা (২০১৯), মহাকাশে একদল দুরন্ত (২০২০), ইকারুসের ডানা (২০২০), এবারের সংগ্রাম (২০২০), অরুণ কুমারের সাদা ঘোড়া (২০২০), ছোটদের গোয়েন্দা কাহিনি (২০২০), গোয়েন্দা গ্যাং (২০২১), ফার্স্ট বেঞ্চে লাস্ট বয় (২০২১)।
গল্প সংক্ষেপ
নিরু আর বিরু কিশোর বয়সী দুই ভাই। ওদের এক মামা আছে। নাম তার টিংকু মামা। একটা কলেজের ফিজিক্সের প্রফেসর। একটু পাগলাটে ধরনের। নানা গবেষণা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাড়ির সিঁড়ির লাগোয়া দোতলা চিলেকোঠায় তার ল্যাব। দরজায় সাইনবোর্ড লাগানো ‘প্রবেশ নিষেধ’। এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নিরু-বিরুর জন্য প্রযোজ্য নয়। ভাগ্নে হওয়ার এই একটা বাড়তি সুবিধা। সায়েন্টিস্ট টিংকু মামার যেকোনো ব্যাপারে যখন-তখন নাক গলানো ওদের জন্য কোনো সমস্যা না। টিংকু মামা দেখতে ছোটখাটো টাইপের। কিন্তু তা হলে কী হবে? মামা আজব সব কাণ্ড করে বেড়ান। মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে ঠোঁট আওড়ান। নানা রকম নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেন। এসব উদ্ভট কর্মকাণ্ডের জন্য লোকেরা তাকে আড়ালে প্রফেসর পাগলু বলে ডাকে। ছাদের এই ল্যাবে কত যে যন্ত্রপাতি জোগাড় করেছেন তিনি তার ইয়ত্তা নেই। খোলা ছাদে টেলিস্কোপ বসিয়ে আকাশে নক্ষত্র খুঁজে বেড়ান। হঠাৎ একদিন অবাক করা এক কাণ্ড ঘটে। ভিনগ্রহের এক সসার ছাদে এসে নামে...।
কিশোরদের উপযোগী এ রকম সাতটি সায়েন্স ফিকশন গল্প নিয়ে ইউনুস আহমেদের সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলনÑ ‘সায়েন্টিস্ট টিংকু মামা’।