ঔপন্যাসিক রাজিয়া মজিদের পিতা আবদুস সবুর সিদ্দিকী ছিলেন একজন অধ্যাপক। পিতার তত্বাবধানে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ছোট বেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। রাজিয়া মজিদ নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় সরকারী বৃত্তি ও স্বর্নপদক লাভ করেন। ১৯৪৪ সালে ঈশান গালর্স স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় লেটারসহ ১ম বিভাগ লাভ করেন।
ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মারহাবা পুরস্কার প্রাপ্ত হন। পরে কোলকাতার লেডি ব্রাবোন কলেজে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। অত:পর ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষয়িত্রী পদে যোগদান করেন। ১৯৫১ সনে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণী পেয়ে বি. টি ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি সরকারি চাকুরীতে ইষ্ট পাকিস্থান এডুকেশন সার্ভিসের দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর বাংলা ভাষা স্পেশালিষ্ট হিসাবে পাকিস্থান শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন। এরপর তিনি খুলনার মন্নুজান গালর্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে অবসরের আগ পর্যন্ত সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সমূহের সহকারী পরিদর্শক ছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি গার্লস গাইডের খুলনা বিভাগীয় কমিশনার নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৯৪০ সালে লেখালেখি জীবন শুরু হয়েছিল। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ: তমসাবলয়, সেই তুমি, অরণ্যে জনতা, কালোমেঘ, দিগন্তের স্বপ্ন, সুন্দরতম, বৃষ্টিভেজা মুখ প্রভৃতি।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, লেখিকা সংঘ স্বর্ণ পদক এবং একুশে পদক পেয়েছেন।
রাজিয়া মজিদের স্বামী ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম এস এম মজিদ।
Subscribe and be a part of Read Chain and Get Exclusive Reward, Special Discount & More
Simple Black T-Shirt
5.0
62 Reviews242 orders
Seamlessly predominate enterprise metrics without performance based process improvements.