সায়েন্টিস্ট টিংকুমামা

 যেন হেডস্যারকে সালাম দেওয়ার জন্যই সে সময়মতো স্কুলে আসে এবং গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। আসে সবার আগে। স্কুলের টিচাররা যখন-তখন হাবলুর নামে বিচার নিয়ে হেডস্যারের কাছে চলে যান। 
120 Ratings
৳120 ৳200 Save 40 %
  • Dhaka city Cash on Deliver
  • 7 Days Happy Returns
  • Dhaka City COD (1kg-7kg) + ৳65
  • Outside Dhaka city COD (1kg-4kg) + ৳109
  • Sundarban Courier (1kg-4kg) + ৳69
বোকা হাবলু। প্রায় সবাই এ নামেই ডাকে। আবার কেউ কেউ শুধু হাবলু নামেই ডাকে। আসল নাম রায়হান কবির। কিন্তু ওর আসল নামটা কেউ জানে না। এমনকি ওর মা-বাবাও আসল নামটা ভুলে গেছে। আর বাড়ির লোকজনও হাবলু নামটা পছন্দ করে ফেলেছে। হাবলু পড়ালেখায় মোটেই ভালো না। কোনো ক্লাসেই পড়া পারে না। টিচাররা বলে ওর মাথায় নাকি একটা মস্ত গোবরের ফ্যাক্টরি। গোবর ছাড়া নাকি হাবলুর মাথায় আর কিছুই নেই। পরীক্ষায় প্রায় সব সাবজেক্টেই গোল্লা পেয়ে বসে। সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল্লা পেয়ে ইতিমধ্যে স্কুলে রেকর্ড করে ফেলেছে। অন্য কেউ তেমন একটা পছন্দ না করলেও স্কুলের হেডস্যার বেশ পছন্দ করেন হাবলুকে। কারণ তিনি স্কুলে ঢুকতেই সর্বপ্রথম সালামটা পান হাবলুর। যেন হেডস্যারকে সালাম দেওয়ার জন্যই সে সময়মতো স্কুলে আসে এবং গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। আসে সবার আগে। স্কুলের টিচাররা যখন-তখন হাবলুর নামে বিচার নিয়ে হেডস্যারের কাছে চলে যান। সবারই অভিযোগের ধরন প্রায় একই, হাবলু ক্লাসে পড়া পারে না। পড়া শিখে আসে না। ওকে ক্লাসে রেখে লাভ কী? ওকে দিয়ে কিছুই হবে না, বরং স্কুলের বদনাম। ইত্যাদি ইত্যাদি।
Title সায়েন্টিস্ট টিংকুমামা
Author
Cover Type
Paper Type
Publisher
Edition 1st
Number of Pages 64
Country বাংলাদেশ
Language Bangla
ISBN 9789849939016
ইউনুস আহমেদ

ইউনুস আহমেদ

ইউনুস আহমেদ। জন্ম ৩১ মার্চ, ঢাকা। বাবাÑ আফতাব উদ্দিন আহমেদ। মাÑ ফাতেমা খাতুন। ভূগোল বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স। বর্তমানে তেঁতুলঝোড়া কলেজের প্রিন্সিপাল। কিশোর বয়সে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। শিশু-কিশোর উপযোগী সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার নিয়মিত পদচারণা। তবে সায়েন্স ফিকশন ও মুক্তিযুদ্ধ তার লেখালেখির প্রিয় বিষয়। সম্পাদনা করেন শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন ‘ত্রৈমাসিক অরুণবর্ণ’। তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও সায়েন্স ফিকশন লেখক লেখালেখি, ভ্রমণ করা ও ছবি তোলা তার প্রিয় শখ। স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা, দুই সন্তান রাদিফা ও রিয়াসাকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ, যা তাকে লেখার অনুপ্রেরণা জোগায়। সাহিত্যকর্মসমূহ এলিয়েনের সাইকেল (২০১৪), ক্লাস ক্যাপ্টেন ও চার গোয়েন্দা (২০১৫), লাল পাহাড়ে আতঙ্ক (২০১৬) ভিনগ্রহের বাসিন্দা (২০১৭), দুষ্টুদের চড়ুইভাতি (২০১৭), পিচ্চি এলিয়েনের কাণ্ড (২০১৮), লাস্ট বেঞ্চের ফার্স্টবয় (২০১৮) মঙ্গলগ্রহের টিয়ানা (২০১৯), মহাকাশে একদল দুরন্ত (২০২০), ইকারুসের ডানা (২০২০), এবারের সংগ্রাম (২০২০), অরুণ কুমারের সাদা ঘোড়া (২০২০), ছোটদের গোয়েন্দা কাহিনি (২০২০), গোয়েন্দা গ্যাং (২০২১), ফার্স্ট বেঞ্চে লাস্ট বয় (২০২১)। গল্প সংক্ষেপ নিরু আর বিরু কিশোর বয়সী দুই ভাই। ওদের এক মামা আছে। নাম তার টিংকু মামা। একটা কলেজের ফিজিক্সের প্রফেসর। একটু পাগলাটে ধরনের। নানা গবেষণা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাড়ির সিঁড়ির লাগোয়া দোতলা চিলেকোঠায় তার ল্যাব। দরজায় সাইনবোর্ড লাগানো ‘প্রবেশ নিষেধ’। এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নিরু-বিরুর জন্য প্রযোজ্য নয়। ভাগ্নে হওয়ার এই একটা বাড়তি সুবিধা। সায়েন্টিস্ট টিংকু মামার যেকোনো ব্যাপারে যখন-তখন নাক গলানো ওদের জন্য কোনো সমস্যা না। টিংকু মামা দেখতে ছোটখাটো টাইপের। কিন্তু তা হলে কী হবে? মামা আজব সব কাণ্ড করে বেড়ান। মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে ঠোঁট আওড়ান। নানা রকম নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেন। এসব উদ্ভট কর্মকাণ্ডের জন্য লোকেরা তাকে আড়ালে প্রফেসর পাগলু বলে ডাকে। ছাদের এই ল্যাবে কত যে যন্ত্রপাতি জোগাড় করেছেন তিনি তার ইয়ত্তা নেই। খোলা ছাদে টেলিস্কোপ বসিয়ে আকাশে নক্ষত্র খুঁজে বেড়ান। হঠাৎ একদিন অবাক করা এক কাণ্ড ঘটে। ভিনগ্রহের এক সসার ছাদে এসে নামে...। কিশোরদের উপযোগী এ রকম সাতটি সায়েন্স ফিকশন গল্প নিয়ে ইউনুস আহমেদের সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলনÑ ‘সায়েন্টিস্ট টিংকু মামা’।

Subscribe and be a part of Read Chain and Get Exclusive Reward, Special Discount & More