মরহুম হাফেজ সফিউল্যা (রাহি.) ও মা সাবিয়া খাতুনের কনিষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন ফেনী জেলার দাগনভূঞা ইউনিয়ন অন্তর্গত দক্ষিণ করিমপুর গ্রামে মফজল হক পণ্ডিতবাড়িতে জন্ম লাভ করেন।
কৈশোর থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। ছোটগল্প, কবিতা, ছড়া লিখে যাচ্ছেন কৈশোর থেকে। মানুষের সমস্ত অধিকারের ঝুড়ি ফেরি করে লিখে যাচ্ছেন মানুষের চিরন্তন মুক্তির লক্ষ্যে। দ্রোহ ও প্রেমÑ এ দুইয়ের সমন্বয়ের সাঁকো নির্মাণ করে মুক্তি লাভ অবশ্যম্ভাবী।
কবি বিশ্বাস করেন, মানুষের সামগ্রিক মুক্তিই একজন লেখক বা কবির জীবনের সার্থকতা। কবি নিরন্তর লিখে যাচ্ছেন সেই মানুষদের উপলক্ষ করে, যারা এই পৃথিবীর মানচিত্রের দেয়াল ঘেঁষে পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়, শোষিত-নিপীড়িত, ক্ষুধিত, যেখানে মানুষ বেশে মানুষ চিবিয়ে খায় মানুষের আত্মা, অভিলাষে শিকার করে মজলুমের বেঁচে থাকার নিত্য অনুষঙ্গটুকু; যেখানে মানুষ এবং মানবতা বিপন্ন। বিপন্ন মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও মূল্যবোধ, সেই প্রতিবন্ধকতার সড়ক মাড়িয়ে কবি চলেছেন কাব্যের রশি টেনে মানুষের চিরন্তন মুক্তির লক্ষ্যে অনন্তকাল।
মানুষের মুক্তির উল্লাসে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়ে নিজেকে নিবেদন করে হতে হয় কালের সাক্ষী। কবি সেই অনন্ত অসীম দিগন্তের কোলে নিজেকে সমর্পণ করেছেন একমাত্র স্রষ্টার সন্তুষ্টির তাড়নায়, মহান আল্লাহর অনুগত প্রতিনিধি হয়ে। ‘একটি অনিবার্য অধিবেশনের ডাক’ কাব্যগ্রন্থটি কবির ষষ্ঠ নম্বর বই এবং একক হিসেবে তৃতীয়। কবি মনে করেন, মানুষের সমগ্র অধিকার ও চাওয়া কুড়িয়ে এনে প্রতিষ্ঠা করতে পারার মধ্য দিয়ে ওপারের চূড়ান্ত অধিবেশনের নিশ্চিত সফলতা ডান হাতে অর্পিত হবে একমাত্র স্রষ্টার অফুরন্ত দয়ায়।