লেটার টু দ্যা ডটার

আমেরিকার প্রজন্মরা পরিণত হওয়ার আগেই পরিণত হয়ে যায়। মাত্র আঠারো বছর বয়সে নাফিসার সফলতা অনেক। মাথার ভিতর কি আঁকলো সেইউএস নেভাল ফোর্সে যোগ দিবে। আমরা যেন না জানি চুপিচুপি ইন্টারভিউ দিলোরিটেনভাইভামেডিকেল টেস্ট সবকিছুতে টিকে গেল। আমরা কেউ কিছুই জানি না। শুধু এটুকুই জানলামআর দু'সপ্তাহ পর ইউএস নেভী এসে ওকে নিয়ে যাবে। আমরা ওকে আর কিছুই বলতে পারলাম না। সত্যি সত্যি নাফিসা একদিন এমনিভাবেই চলে গেল। চোখের জলে বুক ভাসিয়ে আমরা নাফিসাকে বিদায় দিলাম। চোখের সামনে এমন দৃশ্য আমরা মেনে নিলাম 
120 Ratings
৳180 ৳300 Save 40 %
  • Dhaka city Cash on Deliver
  • 7 Days Happy Returns
  • Dhaka City COD (1kg-7kg) + ৳65
  • Outside Dhaka city COD (1kg-4kg) + ৳109
  • Sundarban Courier (1kg-4kg) + ৳69

ভূমিকা থেকে :

বাংলাদেশের নাফিসা তাবাস্সুম চৌধুরী একটি সংগ্রামী মেয়ের নাম। আমেরিকায় এসে ঝড় তুলেছে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু গ্রামের কিংবদন্তি শিক্ষাবিদ আব্দুল হান্নান চৌধুরী বাড়িটিই তার দাদার বাড়ি। তিনি দেখতে ছিলেন পাঠানদের মতো এক সুপুরুষ। তার ইংরেজি, বাংলায় বক্তৃতা শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তাঁর বাগান বাড়িতে এসে সময় কাটাতেন। তাঁর বাড়িতে প্রশাসনের গাড়ি আসতেই থাকতো যখন তখন। ছাব্বিশ একরের লেক ঘেরা বাড়িতে পরিবার নিয়ে একাই তিনি থাকতেন। এমন সৌভাগ্যবান মানুষ আজকাল বিরল।

নাফিসার বাবা মোসাদ্দেক আবেদ চৌধুরী। বাংলাদেশে একটি ডিপ্লোমেটিক জার্নাল বের করে দূতাবাসসমূহের ডিপ্লোমেটদের খুব কাছাকাছি এসেছেন। দেশে-বিদেশে ঘুরেছেন আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে। সেইভাবেই তিনি পরিবারসহ আমেরিকায় যখন আসেন, নাফিসা তখন ছোট। ঢাকার মগবাজার গার্লস হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। নিউইয়র্কের স্কুলে ভর্তি হয়ে নাফিসা মেধার পরিচয় দিতে শুরু করে।বড় হলো। স্কুল, কলেজে ভালো রেজাল্ট করে নাফিসা নামকরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো সাথে সাথে ভালো একটা চাকরিও করতো নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে (জেএফকে)

আমেরিকার প্রজন্মরা পরিণত হওয়ার আগেই পরিণত হয়ে যায়। মাত্র আঠারো বছর বয়সে নাফিসার সফলতা অনেক। মাথার ভিতর কি আঁকলো সে, ইউএস নেভাল ফোর্সে যোগ দিবে। আমরা যেন না জানি চুপিচুপি ইন্টারভিউ দিলো, রিটেন, ভাইভা, মেডিকেল টেস্ট সবকিছুতে টিকে গেল। আমরা কেউ কিছুই জানি না। শুধু এটুকুই জানলাম, আর দু'সপ্তাহ পর ইউএস নেভী এসে ওকে নিয়ে যাবে। আমরা ওকে আর কিছুই বলতে পারলাম না। সত্যি সত্যি নাফিসা একদিন এমনিভাবেই চলে গেল। চোখের জলে বুক ভাসিয়ে আমরা নাফিসাকে বিদায় দিলাম। চোখের সামনে এমন দৃশ্য আমরা মেনে নিলাম

ইউএস নেভীর দায়িত্বপালনকালিন সময়ে কখনোই বিচলিত বা ভীত হয়ো না সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তা হলেই তুমি মাথা তুলে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে। মডার্ন ইতিহাসে আমেরিকা সবার উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এখনো। আমেরিকা আমাদের গর্বের দেশ। এদেশের নাগরিক আমরা। এই দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি মনে প্রাণে। দেশ তার প্রতিটি নাগরিকের জন্য আশীর্বাদের

মধুর ধ্বনি বাজে

হৃদয় কমলও বন মাঝে

নাফিসা তুমি কোনো অংশেই কম নও। আমেরিকাকে ভালোবেসে দেশের জন্য রক্ত দিতে গেলে। মাত্র আঠারো বছর বয়সে তাও আবার বাংলাদেশের মেয়ে হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিলে। সেই অর্থে তুমি এক অসাধারণ। এমনও তো দিন আসতে পারে, বাংলাদেশ আমেরিকা তোমাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। যে শুরু করে তার পথটা মসৃণ নয়। তোমার শুরুটা কঠিন এক পথ। জীবনটা এমনভাবে তৈরি কর, যাতে করে মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারো। সহজে কোনো রাস্তা খুলে যায় না। তোমার মূল্যটা কিসে, তা তুমি প্রমাণ কর। তোমার জীবনে একটা উত্তরণের প্রয়োজন

নাফিসার জীবন, আদর্শ কর্ম আমাদের নূতন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। সেই থেকে নাফিসাকে নিয়ে লেখা বাবার চিঠিলেটার টু দ্যা ডটারবই আকারে আভির্ভাব হলো। নিঃসন্দেহে বইটি আমাদের প্রজন্মের কাছে একটি মূল্যবান বই হিসাবে সংগ্রহে থাকতে পারে। বইটি পড়ে তারা হয়তো অনুপ্রাণিত হবেন।

Title লেটার টু দ্যা ডটার
Author
Cover Type
Paper Type
Publisher
Edition 1st
Number of Pages 128
Country বাংলাদেশ
Language Bangla
ISBN 9789849321194

Subscribe and be a part of Read Chain and Get Exclusive Reward, Special Discount & More