এম দিলদার উদ্দিনের গল্পগুচ্ছ ১ম খন্ড

বাবা এসেছেন বলে আনন্দে বাড়িওয়ালিকে পরতে পরতে ডেকে যাচ্ছি, চাচিমা ও চাচিমা। এই দেখেন কে এসেছে!
120 Ratings
৳200 ৳400 Save 50 %
  • Dhaka city Cash on Deliver
  • 7 Days Happy Returns
  • Dhaka City COD (1kg-7kg) + ৳65
  • Outside Dhaka city COD (1kg-4kg) + ৳109
  • Sundarban Courier (1kg-4kg) + ৳69
বাড়িতে কে আছে? এখানে ব্যাংকের কেউ থাকে নাকি?

বাড়িওয়ালি বৃদ্ধা আমাকে ডেকে বললেন, সওকাত সাহেব, কে যেন তোমায় খুঁজছে। আমি তোমার গেটে পাঠিয়ে দিয়েছি।

আমি গেট খুলে বিস্মিত না হয়ে পারলাম না।

এমন একজন ব্যক্তি এসেছেন, যার পরনে ময়লা লুঙ্গি, গেঞ্জি ও পাঞ্জাবির সঙ্গে মুরদো ফোরাসির একটা জাম্পার গায়ে জড়ানো, হাতে পুরাতন নাইলনের একটা ব্যাগ, তার ভেতরে লুঙ্গি-গামছার মতো একটা পুঁটলি এবং মুখে মøান হাসি নিয়ে ঠিক যেন পাথরের মূর্তির মতো দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।

আমি বললাম, বাবা! তুমি এই দুপুরবেলা কোথা থেকে আসছ?

বাবা এসেছেন বলে আনন্দে বাড়িওয়ালিকে পরতে পরতে ডেকে যাচ্ছি, চাচিমা ও চাচিমা। এই দেখেন কে এসেছে!

তিনি বাইরে এসে আমার আনন্দের কারণ জানতে চাইলে আমি বললাম, আমার বাবা এসেছেন।
Title এম দিলদার উদ্দিনের গল্পগুচ্ছ ১ম খন্ড
Author
Cover Type
Paper Type
Publisher
Edition 1st
Number of Pages 208
Country বাংলাদেশ
Language Bangla
ISBN 9789849973348
এম দিলদার উদ্দিন

এম দিলদার উদ্দিন

এম দিলদার উদ্দিন একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সম্পাদক, যিনি নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাংবাদিকতা অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তিনি ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার গুল্যাখালী গ্রামের ছৈয়দিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মফিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও এ.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন এবং ১৯৭৯ সালে এসএসসি ও ১৯৮১ সালে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজে বিএসসি পড়াকালীন সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। সাংবাদিকতার সূচনায় তিনি জাতীয় নিশান ও অবয়ব পত্রিকায় হাতিয়া থেকে সংবাদ পাঠাতেন। ১৯৮৫ সালে মাসিক দ্বীপচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে সম্পাদনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত পত্রিকা হাতিয়া কণ্ঠ প্রকাশ শুরু করেন, যা এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রযুক্তির সহায়তায় এই পত্রিকাটি অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি ঢাকায় ও নোয়াখালীতে অবস্থান করলেও হাতিয়ার সংবাদ পরিবেশনেই অগ্রাধিকার দেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও জনকল্যাণমুখী সাংবাদিকতাই তাঁর পেশাদার দর্শন। তিনি ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার, পিআইবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে সাহসী সাংবাদিকতার সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ‘পূর্বাপর পদক’ ও ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০১০’ অর্জন করেন। এক সময় তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। করোনা মহামারির সময়ে ঘরে অবস্থানকালীন তিনি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং একাধিক গল্প ও রম্যরচনা রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে: করোনা ভাইরাস, নলচিরা ঘাটের সেই মেয়েটি, যাত্রা পথের সঙ্গী, মাটির ঘর, ভাঙ্গা ঘর, গোধূলী লগ্নে প্রেম, অভিমানী মেয়ে, কাকের সাবান চুরি এবং কনের পলায়ন ও সাত পাঁচ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী সালমা ইমাম (শিল্পী) নোয়াখালী সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

Subscribe and be a part of Read Chain and Get Exclusive Reward, Special Discount & More